কি হচ্ছে দোহারের মিনি চাইনিজ খ্যাত এই রেস্টুরেন্টের ভেতরে - মানবাধিকার বার্তা

Breaking

Breaking News

Comments

মঙ্গলবার, ৭ মার্চ, ২০২৩

কি হচ্ছে দোহারের মিনি চাইনিজ খ্যাত এই রেস্টুরেন্টের ভেতরে

ঢাকার দোহারের বিভিন্ন মিনি চাইনিজের আড়ালে চলছে অসামাজিক কার্যকলাপ। আলো-আঁধারের মাঝে ছোট ছোট কেবিন তৈরি করে উপজেলার জয়পাড়া বাজার ও এর আশেপাশের কয়েকটি এলাকায় গড়ে উঠেছে অসংখ্য মিনি চাইনিজ রেস্টুরেন্ট। এদের অনেকের নেই বৈধ লাইসেন্স। ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে উঠা এসব চাইনিজ ও রেস্টুরেন্টের প্রধান আয় আগতদের কাছে থেকে পাওয়া ‘ওয়েটিং বিল’। স্কুল-কলেজ পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস চলাকালীন ‘ওয়েটিংয়ের’ নামে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে। বিশেষ করে দোহারের প্রাণকেন্দ্র জয়পাড়ায় গজিয়ে ওঠা কয়েকটি মিনি চাইনিজ নিয়ে অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে চলছে এসব কর্মকান্ড । এসবের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খোলার সাহস করেন না কেউ। অনুসন্ধানে জানা গেছে, জয়পাড়ায় গড়ে উঠা কয়েকটি চাইনিজ বাহ্যিক দৃষ্টিতে অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন হলেও ভিতরে কী আছে তার খবর কেউ রাখে না। বেশিরভাগ চাইনিজের ও রেস্টুরেন্টের ভিতরে ছোট ছোট কেবিন তৈরি করা। বাহির থেকে দেখলে বোঝার উপায় নেই যে, এসবের ভিতরে কি আছে। অনুসন্ধানে বেশকিছু অনৈতিক কর্মকান্ডের ছবি ধরা পরে প্রতিবেদকের ক্যামেরায়। জয়পাড়া বড় ব্রিজের পাশে ক্যাফে চিলেকোঠা, সাংহাই নাইট, জয়পাড়া স্টার কাবাবসহ আরও বেশ কয়েকটি মিনি চাইনিজে গিয়ে দেখা যায়, কয়েকটি টেবিল সামনে সাজানো থাকলেও একটি স্থানে একদম চারিদিকে আটকানো কাপড়। জয়পাড়ার বেশিরভাগ চাইনিজে প্রতিনিয়ত অনৈতিক কর্মকান্ড চলছে বলে জানান আশেপাশের বেশ কয়েকজন। তারা জানান আবদ্ধ রুমে আলো-আঁধারে স্পষ্ট কিছু দেখা যায় না। আশেপাশের গড়ে উঠা আরও কয়েকটি চাইনিজের পাশের ব্যবসায়ীরা জানান, এখানে খাওয়ার চেয়ে ‘ওয়েটিং’ বিলটাই মুখ্য। এমন আরও বেশ কয়েকটি চাইনিজ রয়েছে শুধুমাত্র জয়পাড়াতেই। এ প্রসঙ্গে জয়পাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ বলেন, হঠাৎ করেই আমাদের সমাজ পরিবর্তন হচ্ছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে নানা মূল্যবোধ, প্রযুক্তির ব্যবহার আমাদের সমাজে প্রবেশ করেছে। অথচ এটাকে কিভাবে ব্যবহার করতে হবে তা আমাদের জানা নেই। তিনি বলেন, একটা মূল্যবোধকে ধারণ করতে গেলে সময় লাগবে। সেই সময় এখনও অতিক্রান্ত করতে পারিনি আমরা। সে কারণেই এ ধরণের পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। এবিষয়ে দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোবাশ্বের আলম বলেন, আমাদের কাছে এমন অভিযোগ কেউ এখনো করেনি। অনৈতিক কর্মকান্ড ও বৈধ লাইসেন্স ছাড়া কেউ চাইনিজ পরিচলনা করলে অবিযান করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Recent in Sports

Most Popular

Tags