দোহার পৌর আ’লীগ নেতা দেলোয়ার মাঝি জিরো থেকে হিরো - মানবাধিকার বার্তা

Breaking

Breaking News

Comments

সোমবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৪

দোহার পৌর আ’লীগ নেতা দেলোয়ার মাঝি জিরো থেকে হিরো

নিজস্ব প্রতিনিধি: দোহার বিলাশপুরের কুতুবপুর সাধারণ কৃষক পরিবারের সন্তান দেলোয়ার মাঝি। ৪ ভাইয়ের মধ্যে মেঝু। বাবা মান্নান মাঝি কৃষি কাজ করে কোন মতে পরিবার পরিজন নিয়ে চলতেন। স্থানীয়দের দাবি, সালমান এফ রহমান দোহার নবাবগঞ্জের এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর দেলোয়ার মাঝি আওয়ামী লীগে যোগদেন। নির্বাচিত হন জয়পাড়া বাজারের সাধারন সম্পাদক। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। জয়পাড়া বাজারে গড়ে তুলেন অবৈধ কারেন্ট জাল তৈরীর কারখানা। দুহাতে টাকা কামিয়ে রাতারাতি জিরো থেকে হিরো বনে যান। গড়ে তুলেন বিভিন্ন স্থানে বাড়ি। ক্রয় করেন অসংখ্য জমি। জয়পাড়া বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, বিগত ৫ বছরে প্রায় শত কোটি টাকার মালিক বনে যান দেলোয়ার মাঝি। একাজে তাঁকে সহায়তা করেন দোহার উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা। যিনি সাবেক এমপি সালমান এফ রহমানের ঘনিষ্ট জন হিসেবে দোহার নবাবগঞ্জে অধিক পরিচিত। দোহার আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেন, দেলোয়ার মাঝি জয়পাড়া বাজারে কাঠের ব্যবসা করতেন একসময়। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেনের মাধ্যমে দোহার পৌর আওয়ামী লীগের আহবায়ক ও সভাপতি নির্বাচিত হন। এরপর শুরু করেন জমি দখল, থানার দালালিসহ বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা। জোরপূর্বক জয়পাড়া পাইলট স্কুলের মাঠে প্রতিবছর কোরবানীর ঈদে গরু ছাগলের হাট বসিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। আর এসব অবৈধ টাকা দিয়ে রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুর, জয়পাড়া বটিয়া, জয়পাড়া ওয়ান ব্যাংক রোড, লটাখোলা ও বিলেরপাড়(পূর্ব লটাখোলা) এলাকাতে ক্রয় করেন জমি ও বাসাবাড়ি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দোহার উপজেলার এক ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, সাবেক এমপি সালমান এফ রহমান দোহার উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোঃ আলমগীর হোসেনের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে দেলোয়ার মাঝি জয়পাড়া বাজারেও একাধিক জমি জোরপূর্বক দখল করেছেন। গড়ে তুলেছেন নামে বেনামে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। আওয়ামী লীগের পতন ও ক্ষমতার পালা বদল হলেও দেলোয়ার মাঝির কারেন্ট জালের ব্যবসা চলছে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে। এছাড়া রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও আদাবরে রয়েছে তাঁর বেশ কয়েকটি দোকান। দেলোয়ার মাঝি যখন যে দল ক্ষমতায় আসে সেই দলে লোক হয়ে যায়। ঘুষ ও বিচার সালিশে তাঁর জুড়ি নেই। গত ৫ বছরের আওয়ামী লীগের নাম ভাংগিয়ে আজ শতকোটি টাকার মালিক বনে গেছেন এমন অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। গত ২০২২ সালের ইউপি নির্বাচনে দোহারের ৮টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনোনয়ন বাণিজ্যে তার বিরুদ্ধে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রযেছে। এছাড়া মৈনটঘাট ইজারার নামে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে কামিয়ে নেয় নগদ অর্থ। দোহারের জমি ক্রয় বিক্রয়ে তাকে মোটা অংকের কমিশন দিতে হতো। তার এ বেপরোয়া ক্ষমতার দাপটে অনেক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ছিলেন দিশেহারা। থানা পুলিশ মানেই দেলোয়ার মাঝির কথায় চলতো। বাজারে একাধিকবার অভিযান চালিয়ে কারেণ্ট জাল জব্দ করলেই দেলোয়ার মাঝি ছুটে আসতেন তাদের রক্ষা করতে। নিষিদ্ধ চায়না কারেণ্ট জাল মজুদ করে দিনি কামেিয় নিয়েছেন কয়েক কোটি টাকা। সালমান এফ রহমানের ক্ষমতার দাপটে নেতাকর্মীরা কোনো ব্যবসা করতে গেলে সবখানেই দেলোয়ার মাঝি ভাগ বসাতেন। এ বিষয়ে দেলোয়ার মাঝিকে তার মুঠোফোনে চেষ্টা করলে ফোন রিসিভ করেনি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Recent in Sports

Most Popular

Tags