দোহারে মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেফতার, দালালদের দুই লাখ টাকার দাবি পূরণ না হওয়ায় ধর্ষণ চেষ্টার মামলা হয়েছে, সমঝোতা সমাধানে এখন দাবি করা হচ্ছে ৫ লাখ টাকা - মানবাধিকার বার্তা

Breaking

Breaking News

Comments

মঙ্গলবার, ৫ অক্টোবর, ২০২১

দোহারে মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেফতার, দালালদের দুই লাখ টাকার দাবি পূরণ না হওয়ায় ধর্ষণ চেষ্টার মামলা হয়েছে, সমঝোতা সমাধানে এখন দাবি করা হচ্ছে ৫ লাখ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকার দোহার থানার চিহ্নিত দালালদের দুই লাখ টাকার চাহিদা পূরণ না করায় হেদায়েতুল উম্মাহ নূরানী মাদ্রাসার জনপ্রিয় শিক্ষক ও একই উপজেলার কাজীর চর হাজী মোরশেদ বেপারী জামে মসজিদের মসজিদের ইমাম হাফেজ মুফতী কেফায়েত উল্যাহকে ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই তাকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানোর ঘটনা ঘটেছে। এখন আবার সেই দালালরাই মামলা মীমাংসার নামে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করছে। অন্যথায় ধর্ষণ চেষ্টার মামলা ‘ধর্ষণে’ পরিনত হতে পারে বলেও ভয় ভীতি দেখাচ্ছেন দালালরা। এ নিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিসহ এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়,হেদায়েতুল উম্মাহ নূরানী মাদ্রাসার ছাত্রী ৭ বছরের শিশুকে প্রাইভেট পড়ানোর সময় অন্যান্য ছাত্র- ছাত্রীর উপস্থিতিতেই শিক্ষক কেফায়েত উল্যাহ চর থাপ্পর দেয়। পরক্ষণেই ছাত্রী কে মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করে পড়াশোনায় মনোযোগ দেয়ার জন্য পরামর্শ দেন ওই শিক্ষক। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে থানার চিহ্নিত দালালরা গিয়ে ওই মাদ্রাসা শিক্ষক ও মসজিদ কমিটির একাধিক নেতার কাছে দুই লাখ টাকা দাবি করেন। তারা বলেন, অন্যথায় ছোট ঘটনা বড় আকার ধারণ করবে বলেও হুমকি দেন তারা। পরবর্তীতে দালালচক্র ওই ছাত্রীসহ তার মাকে নিয়ে স্থানীয় মানবাধিকার সংস্থার অফিসে গিয়ে বিচার প্রার্থনা করেন। সেখানে তার দেয়া অডিও বক্তব্যেও শিক্ষক কর্তৃক কেবল চর থাপ্পর মারারই অভিযোগ তোলা হয়। কিন্তু দালালদের বেধে দেয়া সময়ের মধ্যেও দাবিকৃত চাঁদা পরিশোধ না করায় তারা থানায় গিয়ে ধর্ষণ চেষ্টা সংক্রান্ত মামলা সাজায় এবং মাদ্রাসা শিক্ষক কেফায়েত উল্যাহ কে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায়। এদিকে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা সাজিয়ে মুফতি শিক্ষককে নাজেহাল করার ঘটনায় ওই মাদ্রাসার শিক্ষক, ছাত্র, ছাত্রীসহ এলাকার সর্বস্তরের বাসিন্দাদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের চক্রান্ত বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। অপরদিকে ভুক্তভোগী বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সংঘবদ্ধ থানা দালালদের কাছে দোহারের মানুষ জিম্মি হয়ে পড়েছে। জিডি, মামলা থেকে শুরু করে থানার যাবতীয় কর্মকান্ডের জন্য চিহ্নিত দালালরাই হয়ে উঠেছে সর্বেসর্বা। কোন অভিযোগ মামলা হিসেবে রেকর্ড হবে, কোন মামলার আসামি ধরা হবে, কাকে ছেড়ে দেয়া হবে সেসব নিয়ন্ত্রণ করছেন দালালরা। তারা মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেনের মধ্য দিয়েই সবকিছু সম্পন্ন করে থাকে। তাদের কবল থেকে দোহারবাসীকে রেহাই দিতে জেলা পুলিশ সুপারের সদয় হস্তক্ষেপও কামনা করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Recent in Sports

Most Popular

Tags