নৈরাজ্যের অপর নাম, নগর -আরাম পরিবহন! দোহারের যাত্রীরাই জিম্মি - মানবাধিকার বার্তা

Breaking

Breaking News

Comments

রবিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২২

নৈরাজ্যের অপর নাম, নগর -আরাম পরিবহন! দোহারের যাত্রীরাই জিম্মি

ঢাকার দোহার উপজেলায় দীর্ঘ দিন ধরে ে গন পরিবহনে চরম নৈরাজ্য চলছে।এদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ছে এপথ দিয়ে চলাচলকারী যাত্রীরা। জানা যায়,দোহার টু-শ্রীনগর হয়ে গুলিস্থান পর্যন্ত চলাচলকারী পরিবহন নগর ও আরাম পরিবহন সমিতি ও শ্রমিক সমিতির নামে ব্যাপক চাদাঁবাজি সহ চরম নৈরাজ্য চলছে। পরিবহন সমিতির ও পরিবহন শ্রমিকরা যাত্রী সেবার শৃঙ্খলার পরিবর্তে যাত্রীদের হয়রানী ও ভোগান্তি বহুগুনে বৃদ্ধি করেছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের। অপরদিকে ফিটনেসবিহীন হিসাবে গন্য অধিকাংশ পরিবহনগুলো চলছে এই রুট দিয়ে। দোহার উপজেলায় ব্যাংক-বীমা,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,হাসপাতাল,উপজেলা পরিষদ,পৌরসভা,থানা,বিশ্ববিদ্যালয় সহ একাধিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরতরা প্রতিদিনই ঢাকা থেকে এসে অফিস ও প্রয়োজনীয় কাজে স্থানীয়রা চলাচল করে থাকে।এসকল যাতায়াতকারী যাত্রীদের তুলনায় গনপরিবহনের সংখ্যা খুবই কম । তাছাড়া সময় নিয়ন্ত্রন কোন সার্ভিস ঈদ উপলক্ষে প্রদান করছে না।পাশাপাশি সড়কে ঘন্টার পর ঘন্টা এক পরিবহন আরেক পরিবহনের গাড়ীকে আটকে রাখছে।ফলে যাত্রী সেবার মান নেই বললেই চলে এমন অভিযোগ প্রায় কয়েক হাজার যাত্রীদের। সাধারনত বাসের আসন ৩৬/৪৮ টি হলেও প্রতিটি বাসে শতাধিক যাত্রী নিয়ে বহন করে। যাত্রীভাড়া তুলনামুলক মাত্র ৫০ কিলোমিটারে যাত্রীদের ভাড়া ৯০ থেকে ১১০ টাকা। দোহারের বাস সার্ভিসগুলোর মধ্যে আরাম পরিবহন,নগর পরিবহন,জয়পাড়া পরিবহন,যমুনা পরিবহন ও ফুলতলা পদ্মা পরিবহন নামে পাঁচটি গনপরিবহনের একশত চল্লিশ খানা বাস রয়েছে যা প্রায় সারে তিন লক্ষাধিক জনসাধারনের জন্য অপ্রতুল। আবার এদের মধ্যে ফিটনেসবিহীন হিসাবে গন্য অধিকাংশ পরিবহনগুলো চলছে এই রুট দিয়ে। প্রশাসনকে ফাকিঁ দিয়ে প্রভাবশালী পরিবহন সমিতির ও পরিবহন শ্রমিকদের নেতা-কর্মিরা যাত্রী সেবার শৃঙ্খলার পরিবর্তে যাত্রীদের হয়রানী,ভোগান্তি ও পরিবহন সমিতির নামে প্রতিটি গাড়ি থেকে ১৩৫০ টাকা করে জিপি ফান্ডের নামে চাদাঁ উত্তোলন করছেন এই পাঁচ পরিবহনের নেতারা। কাউন্টার সার্ভিস এর নামে আরাম পরিবহন ও নগর পরিবহন পুরোটাই ভেল্কিবাজি করে যাত্রীদের সাথে। জয়পাড়া থেকে শ্রীনগর পর্যন্ত বিরতিহীন কাউন্টার থাকলেও এর আগে-পরেও যেখানে সেখানে যাত্রী উঠানামা করায় এবং আসন শেষ হওয়ার পরও যাত্রীদের দাড়িয়ে শুধু নয় একজনের সাথে আরেকজনের শরীর মিলিয়ে বহন করে থাকে। এছাড়াও সময়মতো গাড়ি চলাচল করে না। যাত্রীরা যেন মানুষ নয়,পন্যের সামগ্রীর মতো সাজিয়ে বাসের ছাদের উপর মালামাল তুলতেও ভুল হয় না এদের। সময় নিয়ন্ত্রনের নামে বেপরোয়াভাবে চলে ফলে দূর্ঘটনা হয় সবচেয়ে বেশী। সন্ধ্যা হলেই এসব গাড়ীর চালক হয়ে উঠে গাড়ির হেলপাররা। পাশাপাশি দোহার জয়পাড়া-গালিমপুর হয়ে ঢাকা রুটে চলাচলকারী জয়পাড়া পরিবহনের বাসগুলোর সময় নিয়ন্ত্রন না থাকায় এবং ফিটনেসবিহীন বাসগুলোর অবস্থা আরও করুন থাকায় এ পথ দিয়ে চলাচলকারী যাত্রীদের হয়রানী ও ভোগান্তির শেষ নেই। এছাড়াও ফুলতলা পদ্মা সার্ভিসটির অবস্থা একই রকমের থাকায় যাত্রীদের হয়রানী ও ভোগান্তির শেষ নেই। এ বিষয়ে দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.মোস্তফা কামাল জানান, জনসাধারনের চলাচলের জন্য বিষয়টি গুরুত্বপূন তবে চাদাঁবাজির বিষয়টি তার জানা নেই। পরিবহন মালিকরা অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে আরাম পরিবহনের পরিচালনা কমিটির অন্যতম সদস্য মো.হাসান মিয়া জানান,ঈদ উপলক্ষে যাত্রীদের চাপ কম থাকায় আমরা একটু দেরী করে গাড়ি চলাচল করাচ্ছি।ঈদেও পর ঠিক হয়ে যাবে।তবে পরিবহনে চাদাঁবাজীর বিষয়ে তিনি কোন মন্তব্য করেন নি। এ বিষয়ে নগর পরিবহনের নেতা কালাম হাজী বলেন,আমরা ভাড়ার ব্যাপারে সতর্ক রয়েছি।৯০ টাকা প্রতি জনের কাছ খেকে নেওয়া হয়।ঈদে পরিবহনের ভাড়া বাড়ানো হবে না।তবে আরাম পরিবহনের গাড়ি আমাদের সাইড দেন না।পাশাপাশি ভাড়া বাড়াতে আমাদের সাথে কথা বলতে চায় আমরা রাজি হইনি। এ বিষয়ে দোহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো.আলমগীর হোসেন জানান, জনসাধারনের চলাচলের জন্য বিষয়টি গুরুত্বপূর্ন। প্রতিদিনই এ পথ দিয়ে ঢাকা টু দোহার এবং দোহার টু ঢাকা মুখে চলাচলকারীর সংখ্যা অনেক অনেক বেশী। আর এর সুযোগ লুফে নিচ্ছে এক শ্রেনীর লুটেরা। খুব শ্রীঘ্রই আমরা এর প্রতিকার করবো এবং ফিটনেসবিহীন গাড়ী জব্দ করবো। এ বিষয়ে অনেক অভিযোগ আমার কাছে আছে।প্রতিকারের ব্যবস্থা ও হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Recent in Sports

Most Popular

Tags