ঢাকার নবাবগঞ্জে রবিউল ইসলাম (২৩) নামের এক ভূয়া চক্ষু ডাক্তারকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাজিবুল ইসলামের ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাকে এ দণ্ডাদেশ দেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, জেলা সিভিল সার্জন অফিস ও উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক মঙ্গলবার দুপুরে লাইসেন্সবিহীন হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করা হয়৷ এসময় নবাবগঞ্জ চক্ষু এন্ড জেনারেল হাসপাতালে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এমনকি চক্ষু ডাক্তার পরিচয়ধারী ঐ ক্লিনিকের রবিউল নামের এক ব্যক্তির কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে ভূয়া বলে প্রমাণিত হয়৷ রবিউল ডিএমএফ নামে চক্ষু চিকিৎসার এই সনদ দেখাতে পারেনি৷ শুধু এসএসসি সার্টিফিকেট দেখাতে পেরেছেন বলে জানান ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অন্যদিকে একইদিন দুপুর ২ টার দিকে নবাবগঞ্জের পাড়াগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করা হয়৷ এসময় ঐ হাসপাতালের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজিবুল ইসলামের পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও লাইসেন্স না পাওয়া পর্যন্ত এবং পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেয়া পর্যন্ত দুটি হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে গণমাধ্যমকে জানান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজিবুল ইসলাম।
বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, নবাবগঞ্জ চক্ষু এন্ড জেনারেল হাসপাতালের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় ৫০ হাজার টাকা এবং ঐ হাসপাতালে ভূয়া ডাক্তারের ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে পাড়াগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন