মানবাধিকার বার্তা অনলাইন ডেস্কঃ মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে বন্ধ দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। দীর্ঘ ছুটির ফলে প্রাইমারি থেকে মাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা গত ৬ মাস ঘরে বসে অলস জীবন-যাপনে অভ্যস্ত হয়েছে। তার ওপর করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় ভয়ভীতিও চেপে বসেছে শিক্ষার্থীদের জীবনে। ফলে মানসিক দৈন্যকে সামাল দেয়াও এক চ্যালেঞ্জের ব্যাপার। যা পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাপনাকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে দিচ্ছে।সঙ্গত কারণে প্রাথমিক পর্যায়ের শিশুদের কিছুটা স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতিতে ফিরিয়ে আনতে নতুন কিছু পদক্ষেপ সংযুক্ত করতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। দুপুরের খাবারের আয়োজন তেমন একটি নতুন মাত্রা। আরও একটি তথ্য এসেছে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে, সংসদের নবম অধিবেশনের সমাপনী দিনে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দেন আগামী নতুন বছরের শুরুতেই প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের ১০০০ করে অর্থ দেয়া হবে। যা মোবাইলের মাধ্যমে তাদের কাছে পৌঁছে যাবে।
এই মুহূর্তে দেশের প্রাইমারি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ কোটি ৩০ লাখ। ২০ কোটি টাকা খরচ হবে শিক্ষার্থীদের কাছে পাঠাতে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দের পরামর্শ এসেছে প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে, যা প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য আগামী শিক্ষা বাজেটে যুক্ত করা হবে। এটা বাজেটের নতুন শিক্ষাবর্ষের আওতাধীন থাকবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে প্রাসঙ্গিক কার্যক্রম শুরু করেছে। আগামী বছর জানুয়ারিতে নতুন বই উৎসবে শিক্ষার্থীদের এই প্রণোদনা প্যাকেজটি দেয়া হবে। টাকাটা পাঠানো হবে মূলত স্কুল ড্রেস, টিফিন বক্স, খাতা-কলম ইত্যাদি শিক্ষাসংক্রান্ত জিনিস কেনার উদ্দেশ্যে।
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অভিভাবক কিংবা শিক্ষার্থীদের মোবাইল ব্যাংকিংয়ে সংযুক্ত হতে হবে। আর সেভাবেই টাকাগুলো চলে যাবে। নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরুর প্রাক্কালেই বইয়ের সঙ্গে এই টাকাও শিক্ষার্থীরা পাবে।
মূলত এই বরাদ্দ কোমলমতি শিশুদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার। এই উপহার উপবৃত্তি প্রকল্পের আওতাধীনে সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হবে। এই মহৎ প্রকল্পের জন্য প্রয়োজন হবে সারাদেশের প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা। সেই মোতাবেক টাকা বরাদ্দ হবে। তার আগে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এই তালিকা যাচাই-বাছাই করবে।
সংবাদটি সেয়ার করুনঃ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন