দোহারে শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ, বিচার না পেয়ে হতাশ ভুক্তভোগী পরিবার - মানবাধিকার বার্তা

Breaking

Breaking News

Comments

রবিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২

দোহারে শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ, বিচার না পেয়ে হতাশ ভুক্তভোগী পরিবার

ঢাকার দোহারের ইসলামাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ১৩ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ পাওয়া গেছে একই বিদ্যালয়ের খন্ডকালীন শিক্ষক শাহাদাত হোসেনের বিরুদ্ধে। ঘটনার দুই মাস পার হলেও বিচার না পেয়ে হতাশা ও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে ঐ শিক্ষার্থী ও তার পরিবার। এদিকে গত বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত শিক্ষককে হঠাৎ বিদ্যালয়ে দায়িত্ব পালন করতে দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয় বাসিন্দা, অন্যান্য অভিভাবক ও ভূক্তভোগী পরিবার। এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছে সমালোচনার ঝড়। ভূক্তভোগী মেয়েটির মা ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে জানান, গত ১৭ ই জুন সুতারপাড়া এলাকায় তার মেয়েকে কোচিং এ ডেকে নিয়ে শ্লীলতাহানি করেছে শাহাদাত। ঘটনারদিন সকালে শিক্ষক শাহাদাত বলেছে কোচিং এর সব শিক্ষার্থী আসবে এই কথা বলে আমার মেয়েকে যেতে বলে। পরে আমার মেয়ে কাউকে না দেখে চলে আসতে চায়। এসময় শাহাদাত আমার মেয়েকে বারবার জড়িয়ে ধরে খারাপ কথা বলতে থাকে এবং ধর্ষণ করতে চায়। এই ঘটনা কেউ জানবেনা বলেও জানায় শাহাদাত। এসময় ধস্তাধস্তির এক পর্য়ায়ে তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে বেড়িয়ে যায় আমার মেয়ে। বাড়িতে এসে মেয়ে কান্না জরিত কণ্ঠে আমাকে সব খুলে বলে। সাথে সাথে আমার প্রতিবেশী মানিক বেপারীকে ঘটনা জানালে সে আমাকে থানায় নিয়ে যায়। ঐ সময়ে সাবেক কমিশনার আনোয়ার হোসেন মানিককে ফোন দিয়ে সুষ্ঠ বিচারের কথা বলে অভিযোগ দিতে নিষেধ করেন। মেয়েটির মা আরও বলেন, এবিষয়ে সামাজিকভাবে বসা হলে সবার সামনে শিক্ষক শাহাদাত তার ভূল শিকার করে ক্ষমা চায়। এসময় বিদ্যালয় ছেড়ে চলে যাওয়ার শর্তে তাকে আমরা প্রাথমিকভাবে ছেড়ে দেই। এরই মধ্যে বিদ্যালয় থেকে একটি তদন্ত কমিটি করে বিদ্যালয়ের সভাপতি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো.আলমগীর হোসেন আগষ্ট মাসে সবাইকে নিয়ে বসে একমাস পর সিদ্ধান্ত জানাতে চান। হঠাৎ কিভাবে ঐ শিক্ষক আবার বিদ্যালয়ে আসলো আমরা কিছুই জানিনা। আমার মেয়ে ঘর থেকে বের হলে মানুষ নানা প্রশ্ন করে। কিভাবে আমরা বেচে আছি কাউকে বুঝাতে পারিনা। তিনি আরও বলেন, কোন মায়ের যেন এমন দৃশ্য দেখতে না হয়। আমি এই ঘটনার বিচার চাই এবং লম্পট শিক্ষকের অপসারণ চাই। এবিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মো.আলমগীর হোসেন বলেন, যেদিন মেয়েটির বিষয়ে তদন্ত কমিটিসহ সকলকে নিয়ে বসা হয় সেদিন ভূক্তভোগীরা শক্ত কোন প্রমাণ দিতে পারেনি। আমি প্রধান শিক্ষককে বলেছি যেহেতু বিতর্ক হচ্ছে শিক্ষকে অন্যত্র চলে যেতে বলেন, প্রয়োজনে দুই একমাস থাকতে পারে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূরে আলম বলেন, সভাপতির সাথে কথা বলে তাকে আসতে বলেছি। রবিবার এবিষয়ে কথা বলা হবে।
এব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক শাহাদাত হোসেন জানান, এই ঘটনা মিথ্যা। আমি এমন কিছুই করিনি। তদন্ত প্রতিবেদনে সব তথ্য দেয়া হয়েছে। এর কয়েকমাস পর আমাকে প্রধান শিক্ষক স্কুলে যেতে বলেছেন। ঘটনা মিথ্যা হলে কেন তিনি বিচার চাইলেন না সাংবাদিকের এই প্রশ্ন তিনি এড়িয়ে যান। এবং পরে এবিষয়ে কথা বলতে বলেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Recent in Sports

Most Popular

Tags