মানবাধিকার বার্তা রিপোর্ট :
ঢাকা দক্ষিণ এর দোহার উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের দেওভোগ গ্রামে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মোছাম্মৎ কলি আক্তার (২৫) নামে এক বিধবা নারীকে আশ্রয় দিয়ে সারে সাত মাস নির্যাতন চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছেন থানা পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মাহমুদপুর ইউনিয়নের শেখ কাশেম (ঘটক) নামে এক ব্যক্তি মোছাম্মৎ কলি আক্তার (২৫) নামে বিধবা এক নারীকে তার ৬ বছরের একটি কন্যা সন্তানসহ ময়মনসিংহ থেকে ঢাকার দোহারে নিজ বাড়িতে আশ্রয় দেন।
একই এলাকার আব্দুল জলিলের সাথে গোপনে বিয়ে দিয়ে দুইজনই দীর্ঘদিন শারীরিক সম্পর্ক করেন। পাশাপাশি ৭ মাস ঐ নারীকে শারিরিক নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী কলি আক্তার। বিষয়টি কাশেমের স্ত্রী জানতে পেরে কলিকে অন্যত্র সরিয়ে নিতে বলেন। তখনই বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। নির্যাতিত কলিকে চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে শেকলে বেঁধে অত্যাচার শুরু করেন ঘটক শেখ কাশেমের ভাই শেখ রাশেদ।
এলাকাবাসী কলির নির্যাতনের দৃশ্য দেখে এবং শিশু কন্যার কান্নার করুন আর্তনাদে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।
সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান কয়েকজন মিডিয়া ও মানবাধিকার কর্মী, তারা পুলিশকে জানালে তাৎক্ষণিক পুলিশসহ স্থানীয় লোকজন উপস্থিত হন। পরে দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তফা কামালের নির্দেশে নির্যাতিত কলি ও তার শিশু কন্যাকে উদ্ধার করেন মাহমুদপুর ফাড়ির এএসআই অমিত হাসান।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী কলি আক্তার বাদী হয়ে একটি ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন মামলা দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে দোহার থানা পুলিশ আব্দুল জলিল ও শেখ রাশেদ কে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করে। তবে প্রধান আসামি শেখ কাশেম ঘটক পলাতক রয়েছেন বলে জানায় পুলিশ।
এবিষয়ে মাহমুদপুর ফাঁিড়র ইনচার্জ মো. জামাল জানান, এই ঘটনায় ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন মামলা হয়েছে। আমরা দুইজন আব্দুল জলিল ও শেখ রাশেদকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি এবং তাদের আদালতে প্রেরণ করেছি। অন্য আসামি কাশেম ঘটককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন