গ্রেফতারের পরদিন ঢাকার নবাবগঞ্জ থানা হাজতে ‘গলায় ফাঁস দিয়ে’ মামুন মিয়া (৩১) নামে এক আসামি ‘আত্মহত্যা’ করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সরেজমিনে তদন্তের পর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন নবাবগঞ্জ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম শেখ। তিনি বলেন, এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ জানায়, রোববার সকালে উপজেলার নয়নশ্রী ইউনিয়নের দেওতলা খ্রিস্টান পল্লী থেকে উদ্ধার হয় অজ্ঞাত এক নারীর লাশ। পরে ওই নারীর পরিচয় মিলে। তার নাম রাজিয়া সুলতানা (৩০)। তিনি মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানা লস্করপুর গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রী।
স্থানীয় ও নিহত রাজিয়ার স্বজনদের দাবি, ভাড়ায় অটোরিকশা চালানো মামুন মিয়া রাজিয়াকে হত্যা করে লাশ গুম করতে অন্য স্থানে ফেলে আসে। সোমবার ওই নারীর স্বজন ও এলাকাবাসী বিষয়টি আঁচ করতে পেরে মামুনকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে শ্রীনগর থানায় সোপর্দ করে। মঙ্গলবার সকালে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে আসামিকে হস্তান্তর করে।
পুলিশ আরও জানায়, দুপুরে নবাবগঞ্জ থানায় জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিকভাবে খুনের কথা স্বীকার করেন মামুন। এরপর থানা পুলিশ তাকে আদালতে পাঠাতে প্রস্তুতি নেয়। এর ফাঁকে আসামি মামুন তার পরিহিত লুঙ্গি দিয়ে হাজতখানার ভেতর টয়লেটের জানালার সঙ্গে ফাঁস দিয়ে ঝুলে থাকে।
বিষয়টি নবাবগঞ্জ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে ঢাকা জেলা অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার, নবাবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লাশের সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকায় প্রেরণ করে।
উল্লেখ্য, নারীর লাশ উদ্ধারের পর রোববার রাতে নবাবগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন